করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে । সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ঘরে থাকা টা একমাত্র লক্ষ্য । করোনাভাইরাস একটা ছোঁয়াচে রোগ । সে ক্ষেত্রে মানুষের সংস্পর্শে না যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই সারা বিশ্ব এখন লোকজন এর মনে হচ্ছে । যে যেখানে আছেন সেই অবস্থায় থাকতে হবে।
এটা হচ্ছে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ সুস্থ থাকতে গেলে আপনাকে ঘরে থাকতে হবে । আর ঘরে না থাকলে এই করোনা ভাইরাস কিভাবে আপনার মধ্যে যাবে তার কিছু উপকরণ আমি বলছি ।
- সেটা হল কোন ব্যক্তির যদি করোনাভাইরাস থাকে সে ব্যক্তির সামনে দাঁড়িয়ে যদি আপনি কথা বলেন তো এক মিটারের মধ্যে থাকলে হাসির মাধ্যমে বা কথা বলার মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে
- তারপর যদি আপনার হাত স্পর্শ করেন নাক মুখে হাত দিলে
- তার মাধ্যমে করোনাভাইরাস শরীরের মধ্যে আস্তে আস্তে ডুকবে
তাই নাক মুখ স্পর্শ না করাটাই ভালো আর এর জন্য একটা সলিউশন সেটা হলো যে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে বারবার হাত ধোয়া । যদি আপনি ঘরে থাকেন তাহলে লোকসভার হওয়ার কোন উপায় আসলে নাই ।বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের ঘরে থাকা টা আসলে অনেক জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ । যদি আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস থাকে তাহলে সবার মধ্যে যাবে।
এর জন্য যদি আপনি জানেন যে করোনা আছে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আলাদা থাকতে হবে । এবং হসপিটালে থেকে হেল্প নিতে পারেন। আপনি কারো সঙ্গে স্পর্শ যাবেন না।
সবচেয়ে বড় জিনিস হল বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা সেটা হলো যে খুব মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে ।
থাকাটা স্বাভাবিক কারণ কখন কিভাবে এটা আক্রান্ত হয় । সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে এখন বর্তমানে দেশের যে অবস্থা প্রতিদিন করোনা আক্রান্তা হচ্ছে । আমি জানি না অফিস-আদালত যে এখন সব বন্ধ সে ক্ষেত্রে ঘরে থেকে মানুষ কাজ করতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইন বা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মাধ্যমে ঘরে বসে মানুষ কাজ করতে পারে ।
আর সবচেয়ে দেশের মানুষ ভালো থাকাটা দরকার। ভালো থাকার জন্য কিছু উপকরণ আছে । আপনি ইউটিউবে আরো কিছু ভিডিও দেখতে পারেন । আমাদের বাংলাদেশে যেহেতু গরিব কান্ট্রি । তো এটার জন্য ইমারজেন্সি কোন কারণে না থাকলে বাইরে আমরা যাব না । ভাইরাস থেকে বাঁচতে গেলে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। সতর্কতার মাধ্যম সর্তকতা অবলম্বন করলেই সাধারণত করোনা ভাইরাস থেকে আপনি ভালো থাকতে পারবেন । ঘরে থাকার বিকল্প নেই অর্থাৎ আপনাকে ঘরে থাকতে হবে । বাইরে বের হবেন না।
বাইরে বেরোলে মানুষের সাথে কথা বলবেন , খাবেন, কেনাকাটা করবেন । এভাবেই সাধারণত এই করোনা ভাইরাস এক থেকে অনেক হয়। আপনি ঘরে থাকলেই দেখবেন যে এই রোগের সমাধান আপনি নিজেই পেয়ে গেছেন।
সারা বিশ্বে এখন খুব আতঙ্কের মধ্যে আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আজকে করনা কে নিয়ে যুদ্ধ করতেছে । নিজেকে সেভ রাখার জন্য করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকুন রিকোয়েস্ট সবার প্রতি। করোনাভাইরাস সত্যিই একটা মারাত্মক রোগ । এই করোনাভাইরাস দেশের সবাইকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফেলেছে।
এজন্য আপনাদের সবাই আপনাদের সবাইকে সচেতন ও তার সাথে ঘরে থাকতে হবে । যতদিন পর্যন্ত ঘরে ইমারজেন্সি কোন কাজ না থাকে । বিকল্প নাই কারণ যতক্ষণ ঘরে থাকবেন আপনার সেভ থাকবেন । বয়স্ক মানুষ শুধুই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়। আসলে তা না । এটা সবার হতে পারে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করতেই হবে আমাদের , যার কোন দ্বিতীয় উপায় নেই- ( ইতালি যা ভুল করেছে , আমরা যেন ভুলেও না করি ) লেখাটা শুরুর আগে একটা ছোট তথ্য দিয়ে শুরু করি ইতালিতে ১ মাস আগে ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে রোগী ছিল ৮ জন। আজ ২২ মার্চ ইতালির রোগী ৫৩৫৭৮ জন।শুধু আজকেই মারা গেছেন ৭৯৩ জন।মোট মারা গেছেন ৪৮২৫ জন। আরেকটি উদাহরণ স্পেনে ১ মাস আগে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে রোগী ছিল 0 ( শূন্য )জন। মার্চের ২১ তারিখ স্পেনের রোগী ২৫৪৯৬ জন।শুধু আজকেই মারা গেছেন ২৮৫ জন। মোট মারা গেছেন ১৩৭৮ জন। প্রশ্ন হচ্ছে এক মাস পরে বাংলাদেশে কত জন?!!!
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ইতালির অবস্থা খুব খারাপ। কবর দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল ইতালিতে একদিনে আটশোর কাছাকাছি লোক মারা গেছে । ইরানে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। যতদিন চীনে এরকম হচ্ছিল, খবর পাচ্ছিলাম উহান প্রদেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে ততদিন আমরা সবাই সারাবিশ্ব বসে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করিনি। তাই আজ ইউরোপ সহ সারাবিশ্বের এই অবস্থা। মাত্র একমাসের ব্যবধানে। এখন আমাদের দরজার দাঁড়িয়ে আছে মরণ রোগ। মানুষ বিষাক্ত, বাতাস বিষাক্ত, হয়তো বা শরীরও বিষাক্ত হয়ে গেছে এতক্ষণে। জানতে না দিয়েই। না আতঙ্ক ছাড়ানোর জন্য লিখছি না। ইতালি যে ভুল করেছিল আমরা সে ভুল যেন না করি । শুধু টিভি বা খবরের দর্শক হয়ে নয়, কিছু করার আবেদন এটা। হোয়াটঅ্যাপ বা ফেসবুকের ভুয়ো খবর নয়, বরং সচেতনতা ছড়ান। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ সহ এই উপমহাদেশে মাত্র দুই সপ্তাহ যদি আমরা ঘরবন্দি হয়ে থাকি তাহলে আমাদের অবস্থা ইতালি বা ফ্রান্সের মত হবে না।
ইতালি ইরান ফ্রান্স অনেক দেরিতে করেছে, আমাদের হাতে এখনো কিছুটা সময় আছে। দুই সপ্তাহ ঘুরে -বেড়ানো বা অপ্রয়োজনীয় কাজগুলোকে মুলতুবি রাখুন। একসপ্তাহ ছুটি কাটান ঘরে বসে, অযথা দোকান বাজার ছোটাছুটি করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। এই এক দু সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
দুসপ্তাহ পর হয়ত সেলফ কোয়ারেন্টাইনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। প্রকোপ একেবারে কমে যেতে পারে, নইলে হয়ত ঘরে বসে বসেও আক্রান্ত হতে পারেন। আসুন, আমরা আগামী দু-সপ্তাহ মাত্র তিনটে কাজ করি। বেশি না, তিনটে কাজ- #এক, বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিই।
বন্ধ মানে বন্ধ। পাড়ার দোকানটুকুও নয়। আত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশী কারোর বাড়ি যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি, কুড়ি জনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গা এড়িয়ে চলুন, সে শপিং মল হোক কি ধর্মীয় স্থান। দুসপ্তাহ সেদ্ধ ভাত খেয়েই চালিয়ে নিই।
চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ মজুত আছে এতদিনে। বিরিয়ানি মশলা কিনতে না বেরোনোর প্রতিজ্ঞা করি। #দুই, সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে বা এবং ঘণ্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলি। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দিই। #তিন, “আমি একা কি করব? সবাই তো মানছে না” – এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে হল আপনার প্রিয়জন। বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান। যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তিনটে বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাইরে না বেরোনো।
কতদিন না বেরিয়ে সম্ভব? ঠিক দু-সপ্তাহ। আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু ১৪ ( চোদ্দ ) দিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এটা ভেবে শিক্ষিত শুভ-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এটুকু মেনে চলে তাহলেই আমরা নিরাপদ থাকব। আসুন দেখিয়ে দিই, উন্নত বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরীব দেশ সেটা করে দেখিয়েছে। #বিঃদ্রঃ : ভাইরাল করে বিখ্যাত হবার কোনো ইচ্ছেই নেই। কিন্তু একসাথে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য লেখাটা সার্কুলেট হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে কপি পেস্ট করে ছড়িয়ে দিন।
সরকারি খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিচ্ছে। সেটা হল বেশি টেস্ট বেশী ভাইরাস । টেস্টের জন্য হসপিটালে আছে কারো যদি কোন সন্দেহ মনে হয় সেই জায়গায় গিয়ে আপনার টেস্ট করতে পারেন । আমাদের মহামারী আকারে বালাদেশে ধরবে না এটা বুঝা যাচ্ছে । এখন কোন দিক থেকে আমরা এবং সতর্কতার কারণে এটা আসলে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আসবে না । খুব সম্ভবত স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন আমরা করতে পারবো খুব তারাতারি।