সাতটি যোগ্যতা বা কৌশল থাকলেই, আপনি ব্যবসায় কোটিপতি হতে পারেন, আপনাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আপনার টাকা থাকুক আর না থাকুক, যদি আপনার এই কৌশল গুলি থাকে অবশ্যই আপনার পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। অর্থাৎ, আপনি এক সময় কোটিপতি হবেন, ১০০% কনফার্ম । লেখাটি খুব ভালো করে মন দিয়ে পড়ে দেখুন, আপনার জীবনকে পাল্টে দেবে ।
ব্যবসায় কোটিপতি হওয়ার সহজ পথে, সবার আগে আপনাকে “Close Done” করার পদ্ধতি জানতে হবে। আপনাকে মাস্টার হতে হবে । যখন আপনি কোন ক্লায়েন্ট বা কাস্টমারের কাছে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করেছেন, তখন “Close Done” শব্দটি ব্যবহার হয়। অর্থাৎ, ক্লায়েন্টের কাছে আপনার কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করা। এটি আসলে মার্কেটিং এর মধ্যে চলে আসে। ব্যবসা করতে হলে সবার আগে আপনার কোম্পানির জন্য কিভাবে ক্লায়েন্ট আনতে হবে বা কাস্টমারকে কিভাবে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে হবে তা সঠিকভাবে জানতে হবে।
না হলে যত ভালো সহকর্মীই নেন না কেনো কিছুদিন পরে সে ব্যবসা, ১০০% বন্ধ করে দিতে হবে । কেননা যদি সেল না হয়, তাহলে কোন ভাবেই লাভ হবে না। আর লাভ না হলে টাকাও আসবে না। আবার ধরুন অনেক কাস্টমার আসছে আপনার কোম্পানিতে, কিন্তু কেউ পণ্য কেউ কিনতে আগ্রহ বোধ করছে না। আবার ধরুন কাস্টমাররা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করছে, কিন্তু কিনছে না। তাহলেও কিন্তু কোন লাভ হবে না
আপনার টেকনিক ব্যবহার করে সাফল্য আনতে হবে। এরমধ্যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর গুণগত মান বা কোয়ালিটি এবং মূল্যনির্ধারণ ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
আবার ব্র্যান্ডিং -এর দিক দিয়ে কাস্টমার আপনার পণ্য বা সার্ভিসকে ট্রাস্ট করছে কি না তাও খেয়াল রাখতে হবে।
তিনটি বিষয়ে জোর দিলেই আপনি ধনী হতে পারবেন ।
সবার সাথে স্মার্ট ভাবে কথা বলার যোগ্যতাঃ
সবার আগে আপনাকে সবার সঙ্গে স্মার্টলি কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এই যোগ্যতা যদি আপনার না থাকে, তাহলে ব্যবসা করার চিন্তা ভুলেও মাথায় আনবেন না। মনে রাখবেন যতই আপনার টাকা থাকুক, যদি সুন্দরভাবে প্রফেশনাল ভাবে কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, তবে আপনার ব্যবসায় কোটিপতি হওয়া তো দূরের কথা, কখনো সাফল্যই অর্জন করা যাবে না ।
আমি এখানে বলতে চাচ্ছি, আপনি যে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে চান? সেই পণ্য বা সার্ভিস এর গুণগত মান সুন্দরভাবে আপনার কাস্টমারের কাছে, সুন্দর কথা গুলো পৌঁছে দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
বিষয়টি খুব সহজভাবে নিলে হবে না । আমি খুব সিরিয়াসলি বলতে চাচ্ছি.। যদি আপনার পণ্য কে আপনি স্মার্টলি মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে না পারেন , কেউ কখনো আপনার পণ্য নিবেনা। সেটা হতে পারে লিফলেট এর মাধ্যমে, হতে পারে একটা মেসেজের মাধ্যম, হতে পারে ফেসবুকের মাধ্যমে । হতে পারে আপনার ফেসবুকের পোস্ট এর মাধ্যমে।
চিন্তা করে দেখুন একটা ফেসবুকের পোস্ট হাজার মানুষ কিংবা মিলিয়ন মানুষ দেখবে । তারা যদি আপনার ওয়েবসাইটে এসে, আপনার প্রেজেন্টেশন পছন্দ না করে, তাহলে আপনার পণ্য – সার্ভিস কেউ কখনো কিনবে না।
আপনার কথাকে আপনি বিভিন্নভাবে মানুষের কাছে, স্মার্টলি প্রেজেন্ট করতে পারেন। যে কথা, আজ ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ভাষায় কনটেন্ট হিসেবে পরিচিত । যে কনটেন্ট দেখে আপনার ক্রেতা, আকৃষ্ট হয়ে আপনার পণ্য কিনতে বাধ্য হবে ।
স্মার্ট ভাবে কথা বলার মানে এই নয় যে, আপনি সব জায়গায় সাকসেস হবেন। স্মার্ট শব্দটা সেটাই , যেটা খুব সহজে আপনার নির্দিষ্ট টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্টকে পৌছে দেবে। আর আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে সেল দিয়ে ফেলেছেন বা ফেলবেন, সেটা হচ্ছে আপনার একমাত্র লক্ষ্য।
যদি আপনি এই কাজটি করতে পারেন তাহলে কখনোই আপনার বিজনেসের কেউ পিছনে ফেলে রাখতে পারবে না । এক থেকে তিন বছরের মধ্যে আপনি কোটিপতি হবেন যা আমি আপনাকে শতভাগ গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি।
আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন, যদি আপনার পণ্যের বা সার্ভিসের কোয়ালিটি মার্কেটপ্লেসের মত না হয় তাহলে কখনোই আপনার পণ্য মানুষ কিনবে না। তাই এই বিষয়টিও আপনি যাচাই-বাছাই করে ভেবে-চিন্তে, তারপর মানুষের কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিসকে উপস্থাপনা করতে হবে।
ইউনিক উপায়ে কমিউনিকেশন গড়ার যোগ্যতাঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে, আপনার যদি অনলাইন বিজনেস অথবা ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার ঠিক রাখতে হলে, হাজার হাজার মানুষের সাথে কমিউনিকেশন রাখতে হবে।
প্রত্যেকটি কমিউনিকেশন হতে হবে ইউনিক। ইউনিক শব্দটির হাজার হাজার ডেফিনেশন থাকলেও – আমি বলব, যেটা আপনার মেধা শক্তির একেবারে গভীর থেকে বের হয়। যা একদমই নতুন সেটাকেই “ইউনিক” বলে। যার গ্রহণযোগ্যতা সবার কাছে আকাশচুম্বি।
মানুষের কাছে ইউনিক উপায়ে, আপনার পণ্য বা সার্ভিস কে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে তারা এক কথায় আপনার পণ্য বা সার্ভিস দেখে, শুধু এক কথায় “ওয়াও” বলতে বাধ্য হয়।তারা যখনই আপনার পণ্য বা সার্ভিস দেখে ওয়াও বলবে। ধরে রাখবেন, আপনার সেই পণ্যটি তখনই ৮০-৭০% সেল হয়ে গেছে ।
তারপর আসবে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর কোয়ালিটি । কোম্পানির সার্ভিস এর মূল্য নির্ধারণ যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে এবং আপনার স্মার্ট কমিউনিকেশনের কারণে তখনই 90% কাজ হয়ে যাবে। আপনি যাই কমিউনিকেশন করবেন, মনে রাখবে্ আপনার ওই একটা ফেসবুকের মেসেজ বা একটা এড ক্যাম্পেইন হাজার হাজার থেকে কোটি কোটি মানুষ দেখতে পারে। তাই স্মার্টলি প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি মাথায় রেখে কমিউনিকেশন করুন, দেখবেন আপনার পণ্য বা সার্ভিসটি বিক্রি হবেই।
মনে রাখবেন ইউনিক কন্টেন্ট দিয়ে কমিউনিকেশন করতে হবে। অবশ্যই সেই কন্টেন্টগুলো গুগল থেকে থেকে রিসার্স করে দিতে হবে। নতুন করে আপনার ভিতর থেকে একটা এমন একটা জিনিস তৈরি করুন যে জিনিসটা মানুষ দেখেই একবার হলেও আপনার কথা বলে।
Leadership স্কিল
যোগ্যতা এমন এক জিনিস যা কখনোই জন্ম থেকে নয়, কর্ম দিয়ে আপনাকে অর্জন করতে হয়। মানুষকে Influence করা হল লিডারশিপের সবচেয়ে প্রথম স্টেপ। আপনার কথা বলা, আপনার স্টাইল, আপনার কাজের দক্ষতা যে কোন সময়, যে কোন মানুষকে Influence করে ফেলবে। এটাই হচ্ছে লিডারশিপের প্রথম ধাপ। যারা সাকসেস হয়েছেন, তারা গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। নিজের জন্য অবশ্যই আপনাকে, স্মার্ট ওয়েতে কমিনিকেশন করতে হবে। আপনার কাছ থেকে যে উদাহরণটি তারা পাবে, তারা যেন সহজেই আপনার ওই উদাহরণটি বুঝতে পারে এবং নিজেদের প্রাণ এর মধ্যে স্থাপন করে পরবর্তী কাজগুলো খুব দ্রুত সঠিকভাবে করতে পারে।
যদি আপনি কখনো মানুষকে সুন্দর ভাবে বুঝাতে না পারেন, তাহলে ধরে রাখবেন ব্যবসায় কোটিপতি হওয়া দূরের কথা লিডারশিপের যোগ্যতাও আপনার নেই। তাহলে আগে নিজের বিষয়টা কি, সেটা বোঝার যোগ্যতা অর্জন করুন। শুনতে খারাপ লাগলেও করার কিছু নেই। কখনোই আপনি বিজনেস করতে পারবেন না।
কারণ বিজনেস কখনো একা করা যায় না। বিশেষ করে Responsibility of group of people. আপনার গ্রুপটি সঠিকভাবে পরিচালনা করার যোগ্যতা, আমি লিডারশিপ এর মধ্যে ধরবো। তাই অনলাইন বিজনেস করার আগে, সাফল্য অর্জন করার আগে অনলাইন বিজনেস বা ডিজিটাল মার্কেটিং টা আপনি জানতে হবে। যাতে কমিউনিকেশন করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়। যদি আপনি মনে করেন যে , আপনার মধ্যে এমন কিছু শক্তি বা পাওয়ার আছে যা দিয়ে আপনি মানুষকে, সুন্দর ভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে এখনি আপনার সময় বিজনেস স্টার্ট করার।
গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সবার আগে ম্যানেজ করাঃ
প্রতিনিয়ত, ব্যবসাযর মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যা আসবে। দেখবেন, প্রতিনিয়ত শত শত সমস্যা আপনার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সব সমস্যা গুলোর মধ্যে, খুব সহজেই আপনাকে বের করতে হবে, কোন সমস্যাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোন সমস্যা টি আপনার এক্ষুনি সমাধান করা উচিত।
সেই সমস্যাটির জন্য সবার আগে খুব দ্রুত টেকনিক্যালি সমাধান দিতে হবে। তাহলে দেখবেন, আপনার বিজনেসের কখনোই বড় ধরনের কোনো ঝামেলার সম্মুখীন হবে না।যদি আপনি বুঝতে না পারেন, কোন কাজটি আপনার কাছে এখন সবচেয়ে বেশী জরুর।
অবশ্যই আপনি বিশ্বাস করুন । তারপর আপনার কোম্পানিতে যারা সিনিয়র পোস্টে আছে তাদের সঙ্গে জরুরী একটা মিটিং করুন। তাদের ওপিনিয়ন নিন। কোন কাজটি ভালো হয়, জানার পর আপনার নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুপার একটা ইউনিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিন। মাথায় রাখবেন সিদ্ধান্ত যেন কখনো না বদলায়, সিদ্ধান্ত যেন সঠিক হয়ে থাকে, অর্থাৎ সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে সামনে এগিয়ে নিবে। যদি আপনি কোন কারণে শুধু ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন, তাহলে ধরে নেবেন,আপনি বড় আকারের বিপদে পড়তে যাচ্ছেন।
কাজের গুরুত্ব প্রজেক্ট অ্যানালাইসিসের জন্য, যদি মনে করেন আপনার কোনো যোগ্যতা দরকা, সেই যোগ্যতা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে, আপনি অর্জন করে নিতে পারবেন। অথবা সুনামধন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এই কোর্সটি করে নিতে পারেন।
যেমন, ইউটিউব / Udemy-তে অনেক ভালো ভালো কোর্স আছে। তা আপনাকে অনেক হেল্প করবে।
যেই স্কিলটা আপনার কাছে দুর্বল মনে হচ্ছে সেটা ১০০% ঝালাই করে নিন। অর্থাৎ যোগ্যতার দিক দিয়ে কখনো যেন আপনাকে পিছিয়ে পড়ে না থাকতে হয়।
সঠিকভাবে টাকা ইনভেস্ট করাঃ
আপনি যত টাকার মালিকই হন না কেনো, যদি আপনি আপনার টাকা সঠিকভাবে ইনভেস্ট করতে না পারেন, তাহলে কখনোই আপনি ব্যাবসায় কোটিপতি বা বড়লোক হতে পারবেন না। আর যদি আপনি এখনই কোটিপতি হয়ে থাকেন, তাহলে ব্যবসা শুরু করলে দেখবেন, কিছু দিনের মধ্যে সমস্ত টাকা শেষ হয়ে গেছে ।
তাই সবার আগে, আপনার বিজনেস কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য, যে যোগ্যতা আপনার আছ্ তা কাজে লাগান। সেই সাথে সঠিক ভাবে টাকা ইনভেস্ট করার জন্য যে যোগ্যতা দরকার। সেই যোগ্যতা আপনার মধ্যে ভালোভাবে আছে কিনা তা বারবার আপনি যাচাই করে দেখুন।
কোন প্রজেক্টে কত টাকা ইনভেস্ট করবেন?
কেন ইনভেস্ট করবেন ?
তার ROI আসছে কিনা, আসবে কিনা ?
সঠিকভাবে আপনাকে এনালাইসিস করে নিতে হবে।
যার রিসার্চ যত ভালো এবং যার এনালাইটিক পাওয়ার যত ভালো দেখবেন, তার সাফল্যের পরিমাণ ভালো।
মার্ক জুকারবাগ থেকে শুরু করে, আইনস্টাইন থেকে, যত বড় বড় বিজনেসম্যান আছে । প্রত্যেক বিজনেসম্যান ইনভেস্টের ক্ষমতা, টাকা ম্যানেজমেন্ট করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি বলেই তারা জয় লাভ করেছে।
ইভেন সবচেয়ে বড় Example হবে, যদি আমি আজকে কথা বলি, ইলন মাস্ককে নিয়ে। কাল্পনিক Business এর জন্য কিছু প্রজেক্টে এনালাইসিস করে, ইনভেস্ট করে প্রত্যেকটি কাজের জন্য, সে সফলতা অর্জন করেছে।
অর্থাৎ আপনার যত টাকাই থাকুক, যদি তা সঠিকভাবে ইনভেস্ট করতে না পারেন। দেখবেন দিনের-পর-দিন, কোনো-না-কোন ভাবে,আপনার সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না।
তাই Financially ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্ট কে গুরুত্ব দিয়ে সেই যোগ্যতা আপনাকে সঠিকভাবে অর্জন করে, তারপর, বিজনেস শুরু করা উচিৎ। আপনাকে কেউ কোটিপতি হতে আটকে রাখতে পারবে না। আমি আপনাকে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি
মাইন্ডসেট স্কিল
সবচেয়ে শেষ যে স্কিল নিয়ে আমি কথা বলব সেটি হল মাইন্ডসেট স্কিল। বড় বড় বিজনেসম্যান থেকে শুরু করে যারা সাফল্য অর্জন করেছে, তাদের প্রত্যেকটি মানুষ খুব দ্রুত এবং খুব দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তাদের কর্মের উপর। যারা যত দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তারা তত বেশি, তাদের জীবনে সাফল্য অর্জন করেছে। অর্থাৎ, আপনি যে কাজটি নিয়ে শুরু করেছেন। সেই কাজটি শেষ না করে কখনোই আপনি সেখান থেকে উঠবেন না।
এভাবে একের পর এক, কাজ করতে করতে দেখবেন আপনার Mindset স্কিল আরো প্রখর হয়ে গেছে। যে কাজটি করবেন সেই লক্ষ্যটি আপনার মধ্যে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যেন সমস্ত দুনিয়া উল্টে গেলেও আপনি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং পরিকল্পনা ভাবে আপনি আপনার কাজ করে যাচ্ছেন। বিজনেস এ সাকসেস হতে হলে সবচেয়ে বড় দরকার মনোবল এবং সাহস। যদি আপনার মাইন্ড সেটের স্কিল খুব প্রখর হয়, অর্থাৎ আপনি যদি আপনার কাজের সিদ্ধান্তে অটুট থাকেন, তাহলে কেউ আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না। আপনার আশেপাশের মানুষ, আপনার পরিশ্রম এবং মাইন্ডসেট স্কিলে আপনি চালু থাকেন বা সিদ্ধান্ত এক থাকেন তাহলে, কখনই আপনাকে কোন ঝড়-সমস্যা বেঁধে ফেলতে পারবে না।
কারণ কথায় আছে মনের জোরে উপরে, পৃথিবীতে আর কোন জোর নেই বা কোনো শক্তি নেই। আপনার মনোবল বৃদ্ধি করবে আপনার যোগ্যত-মেধা-বুদ্ধি। যদি আপনার কোন সমস্যা থাকে, আপনার মাইন্ডসেট আপনাকে কখনোই আটকে রাখতে পারবে না। সঠিক যোগ্যতা অর্জন করলেই দেখবেন, আপনার মাইন্ডসেট আপনাকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই সততার সাথে কাজ করলে খুব শিঘ্রই আপনি ব্যবসায় কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
মাইন্ডসেট কে ধরে রাখার জন্য পজেটিভ এনার্জিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
অর্থাৎ যে কোনো কাজই আপনার সাকসেস কাজ । তা নিয়ে দিনভর কাজের মধ্যে ডুবে থাকুন । আপনি সাকসেস হবেন ।